With the exception of public holidays (excluding Saturdays), our office and customer service are open every day from 10 a.m. to 8 p.m. Services and guidance are only offered during the designated hours. Please make an appointment to visit the office for any consultations.
— Gustave Flaubert
আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিগত দিনের অস্ট্রেলিয়া ট্যুরিস্ট ভিসা সফলতার উপর ভিত্তি করে কতগুলো প্রয়োজনীয় দিক তুলে ধরছি যাতে করে প্রত্যেক বাংলাদেশী নাগরিক নিজে নিজে ভিসা আবেদন করতে পারে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রস্তুত রাখতে পারে।
প্রথম ধাপ :
ভিসা আবেদন করতে হলে প্রথমত IMMI একাউন্ট খুলতে হবে এবং টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার জন্য IMMI এর একাউন্ট এ প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর সতর্কতার সহিত ইনপুট করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ :
তারপর অবশ্যই নিম্নের ডকুমেন্টসগুলোর পিডিএফ প্রয়োজন পড়বে। প্রতিটি পিডিএফ এর সাইজ হবে ৪এমবি।
তারিখ অনুযায়ী স্বচ্ছ ট্রাভেল প্ল্যান এবং ভ্রমন প্রয়োজনীয় খরচের বর্ণনা থাকতে হবে।
যেমনঃ
আবেদনকারী ব্যবসায়ী হলে :
১. ট্রেড লাইসেন্স & মেমোরেন্ডাম (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)+ভিজিটিং কার্ড
২. ফিনান্সিয়াল ডিটেলস: পার্সোনাল এন্ড কারেন্ট ব্যাংক সলভেন্সি & স্টেটমেন্ট(৬মাস)
আবেদনকারী চাকুরীজীবি হলে :
১. এপয়েন্টমেন্ট কনফার্মেশন +এনওসি+পেস্লিপ-৩ মাস+ভিজিটিং কার্ড
২. পার্সোনাল ও স্যালারি ব্যাঙ্ক সলভেন্সি & সার্টিফিকেট
তৃতীয় ধাপ :
ভিসা ফী পরিশোধ করুন। আপনি নিজের পাসপোর্টে এনডোর্সমেন্ট করা ডুয়াল কারেন্সী কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারেন।
ভিএফএস ই বায়োমেট্রিক ফী ২২৫০ টাকা (প্রতি জন) পরিশোধ করতে হবে। যে কোনো সময় ভিসা,বায়োমেট্রিক ফী পরিবর্তন হতে পারে। তাই এর ভিসা ফী জানার জন্য অস্ট্রেলিয়ার অফিসিয়াল ভিসা এবং ইমিগ্রেশন এর ওয়েবসাইটটি ভ্রমণ করুন।
*একের অধিক আবেদনকারীর ক্ষেত্রে (পরিবার) প্রতিটি সদস্যের জন্য একইরকম ভিসা ও বায়োমেট্রিক ফী পরিশোধ করতে হয়।*
চতুর্থ ধাপ:
তারপর বাংলাদেশ এ অবস্থিত অস্ট্রেলিয়া অথারাইজড ভিএফএস এর ওয়েবসাইট এ গিয়ে নিজের জিমেইল এবং পাসপোর্ট দিয়ে একটি একাউন্ট বানাবেন এবং বায়োমেট্রিক সাবমিশন এর জন্য পোর্টাল এর এপয়েন্টমেন্ট ডেট নিবেন আর এপয়েন্টমেন্ট যে দিন সে দিনে আপনার নিজের পাসপোর্ট আর এপয়েন্টমেন্ট কনফার্মেশন লেটার নিয়ে ভিএফএস এ হাজির হবেন এবং যথাযথভাবে বায়োমেট্রিক সাবমিশন করবেন।
পঞ্চম ধাপ :
এম্বেসী ভিসা সিদ্ধান্ত ইতিবাচক করলে আপনার মেইল এ আপনাকে ভিসা গ্রান্ট এর মেইল পাঠাবে। IMMI একাউন্ট ই ঢুকে ভিসা গ্রান্ট এর পিডিএফ পাবেন যেটা ভ্রমণ করার সময় প্রিন্ট করে পাসপোর্ট এর সাথে রাখবেন।
অস্ট্রেলিয়ার ট্যুরিস্ট ভিসা সম্পর্কিত প্রশ্ন ও তার উত্তর:
১। অস্ট্রেলিয়াতে ট্যুরিস্ট ভিসা রেশিও কেমন ?
উত্তর: সবসময় এই কথাটি মনে রাখবেন যে যাই বলুক ট্যুরিস্ট অথবা ভিজিট ভিসা পাওয়ার রেশিও আপনার দেওয়া তথ্যের এর উপর নির্ভর করে। ভিসা রেশিও কম বা বেশি হলেই যে আপনার ভিসা হবে অথবা হবে না এমন কোনো গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবেন না। ভিসা সংক্রান্ত যে কোনো সিদ্ধান্ত এম্বেসী নিজে নেয় নিজেদের নিয়ম অনুযায়ী।
***এছাড়া স্ট্যাটিসটিক্স ওয়েবসাইট ই প্রতি মাসের/বছরের ভিসা আবেদনকারীর সংখ্যা, ভিসা ইতিবাচক ও নেতিবাচক সিদ্ধান্তের স্ট্যাটিসটিক্স দেশ অনুযায়ী দেয়া আছে।***
২। কয়টি দেশ ভিজিট থাকলে অস্ট্রেলিয়া ভিসা পাওয়া যায় ?
উত্তর : সাধারণত আমাদের বিগতদিনের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বলতে পারি যে, ফ্রিকোয়েন্ট ট্রাভেলার হিসেবে নিজেকে কেউ যদি প্রমান করতে চায় তাহলে নিজের সামর্থ অনুযায়ী ৩ থেকে ৪ টা দেশ ভ্রমণের বিকল্প নেই।
৩। কোনো সাদা পাসপোর্ট বা ভিসা লাগানো হয় নি এরকম পাসপোর্ট এ কি অস্ট্রেলিয়ার ভিসা হয়?
উত্তর : যদি ফার্স্ট ব্লাড আত্মীয় কেউ থাকে তাহলে ইনভিটেশন লেটার এর মাধ্যমে কোনো রকম ভিসা ছাড়া অস্ট্রেলিয়া ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ভিসা ইতিবাচক হলে এম্বেসী মেডিকেল(এম্বেসী অথোরাইজেড) সার্টিফিকেট অনলাইন জমা দিতে বলে। সেক্ষত্রে ৬০০০ টাকা লাগতে পারে। যেকোনো সময় শারীরিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে খরচ কম বেশি হতে পারে।
আমাদের বিগতদিনের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বলতে পারি যে, আপনার অস্ট্রেলিয়া যে ভ্রমণ পরিকল্পনা রয়েছে সেটাকে গুরুত্ব দিয়ে আপনার পরিকল্পনা মাফিক উপস্থাপন এবং কয়েকটি দেশ ভ্রমণ অত্যাবশ্যক।
৪। ব্যাংক সলভেন্সি কত টাকা দেখালে ভিসা হয় ? স্টেটমেন্ট কত মাসের বাধ্যতামূলক ?
উত্তর : প্রকৃতপক্ষে কত টাকা ব্যাঙ্ক এ দেখাতে হবে তা অস্ট্রেলিয়ান ইমিগ্রেশন কর্তৃক কোনো রকম দিক নির্দেশনা নাই। তবে আমাদের বিগতদিনের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বলতে পারি যে, অস্ট্রেলিয়ার মতো একটি দেশে ঘুরতে গেলে অন্তত ৭ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আপনার ভ্রমণকালীন ব্যয় দেখানো শ্রেয়। ব্যাংক স্টেটমেন্ট অবশ্যই ৬ মাসের দেখানো বাঞ্চনীয়।
৫। নিজে নিজে আবেদন করার বিষয়গুলো সব জানা থাকা সত্ত্বেও কেন অভিজ্ঞ কারোর তত্ত্বাবধানে ভিসা আবেদন করা বাঞ্চনীয় ?
উত্তর : বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া এর পরিবেশনে প্রত্যেকেই ভিসা সংক্রান্ত সকল বিষয় জানতে পারে এবং নিজের আত্মীয়/বন্ধবান্ধব/পারা-প্রতিবেশীরা যেহেতু সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে সেজন্য তথ্য সবাই জানে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে কার্যকরী আবেদন করা আর জানা এক বিষয় নয়। তাই যে যেই কাজে দক্ষ তাকে দিয়ে সেই কাজ করানো বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক।
৬। কয়েকটা কন্সালটেন্সি/ট্রাভেল এজেন্সী তুলনামূলক অন্যান্য এজেন্সী থেকে কেন সার্ভিস চার্জ বেশি নির্ধারণ করে ?
উত্তর : যে কেউ যে কোনো কম্পিউটার এর দোকান থেকে অথবা ইউটিউব ভিডিও দেখে নিজে এপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ, ডকুমেন্টস এর পিডিএফ তৈরি করে আবেদন করতে পারে।
সাধারণ মানের চিন্তা ধারার উপর ভিত্তি করে অযোক্তিক ট্রাভেল প্ল্যান এবং অপরিকল্পিতভাবে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস পরিবেশন করলে ভিসা সিদ্ধান্ত নেতিবাচক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই যেসকল কন্সালটেন্সি/এজেন্সী সার্ভিস চার্জ বেশি নির্ধারণ করে তাদের ভিসা রেশিও এবং তাদের ভিসা পরিবেশন সম্পর্কিত তথ্য ভালো করে যাচাই করে তারপর নিজে সিদ্ধান্ত নিবেন।
মনে রাখবেন কম খরচে অদক্ষ কারো মাধ্যমে আবেদন করলে হয়তোবা আপনার খরচ কম হবে কিন্তু একবার ভিসা রিজেকশনের বার্তা সারা জীবন অন্যান্য দেশে ভিসা আবেদনের সময় উল্লেখ করতে হবে যেটার ক্ষতি অপূরণীয়।
***অধিকন্তু অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভেল সম্পর্কিত যেকোনো ধরণের তথ্য জানার জন্য অথবা ফ্রি কন্সালটেশন এর জন্য আমাদের সাথে হোয়াটস্যাপ -০১৯-৬৭-৬৩-৬৭-৬৭ নম্বর এ যোগাযোগ করতে পারেন।***
ঠিকানা: এস -৪৬, ৩য় তলা, মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্স (হাজি ক্যাম্পের বিপরীতে), বিমানবন্দর, ঢাকা। অফিস ভিজিট করার আগে এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে ভিজিট করবেন।
Design and develop by clooudgen.com © 2025 selfsolution.com all rights reserved.