With the exception of public holidays (excluding Saturdays), our office and customer service are open every day from 10 a.m. to 8 p.m. Services and guidance are only offered during the designated hours. Please make an appointment to visit the office for any consultations.

Tourist Visa In Canada

“Life is either a daring adventure or nothing at all.”

— Helen Keller

*বাংলাদেশ থেকে কানাডা (স্পনসর ছাড়া) ১০ বছরের টুরিস্ট ভিসা*

কানাডা সাধারণত বাংলাদেশী নাগরিকদের চাহিদা মোতাবেক ট্যুরিস্ট মাল্টিপল স্টিকার ভিসা দিয়ে থাকে। প্রতিবার যাতায়াতে ১৮০ দিন পর্যন্ত থাকা যায়।

আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিগত দিনের কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসা সফলতার উপর ভিত্তি করে কতগুলো প্রয়োজনীয় দিক তুলে ধরছি যাতে করে প্রত্যেক বাংলাদেশী নাগরিক নিজে নিজে ভিসা আবেদন করতে পারে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রস্তুত রাখতে পারে।

প্রথম ধাপ :

ভিসা আবেদন করতে হলে প্রথমত IRCC সিকিউর একাউন্ট খুলতে হবে এবং টুরিস্ট ভিসা আবেদন করার জন্য IRCC এর একাউন্ট এ প্রত্যেকটি প্রশ্নের উত্তর সতর্কতার সহিত ইনপুট করতে হবে।

 

দ্বিতীয় ধাপ :

তারপর অবশ্যই নিম্নের ডকুমেন্টসগুলোর পিডিএফ প্রয়োজন পড়বে। প্রতিটি পিডিএফ এর সাইজ হইব ৪এমবি।

  • সাম্প্রতিক পাসপোর্ট
  • সাম্প্রতিক ছবি
  • প্রত্যেকটা পাসপোর্ট অনুযায়ী ট্রাভেল হিস্ট্রি
  • সকল লাইভ ভিসা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • বিবাহিত হলে ম্যারেজ সার্টিফিকেট ও নিকাহনামা (ইংলিশ ও নোটারাইজেড)
  • ট্যাক্স রিটার্ন সার্টিফিকেট & একনোলজমেন্ট স্লিপ (৩ বছর)
  • অ্যাসেট ভালুয়েশন
  • কভার লেটার যেখানে ভ্রমণের যোক্তিক কারণ এবং ভ্রমণ শেষে নিজ দেশে ফেরত আসার বাহ্যিক প্রমান পরিবেশন করতে হবে

 

আবেদনকারীর চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ফর্ম সমূহ :

  • Application Form 5257e (main application form)
  • Application Form 5645e (Family Confirmation)
  • Application Form IMM5257b-1(Travel History)
  • Application Form 5713 (Family Member Representative) (if other person in family)

 

তারিখ অনুযায়ী স্বচ্ছ ট্রাভেল প্ল্যান এবং ভ্রমন প্রয়োজনীয় খরচের বর্ণনা

  • এয়ার-টিকেট বুকিং
  • হোটেল/বাসস্থানের বুকিং

 

আবেদনকারী ব্যবসায়ী হলে :

  • ট্রেড লাইসেন্স & মেমোরেন্ডাম (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)+ভিজিটিং কার্ড
  • ফিনান্সিয়াল ডিটেলস: পার্সোনাল এন্ড কারেন্ট ব্যাঙ্ক সলভেন্সি & স্টেটমেন্ট(৬মাস)

 

আবেদনকারী চাকুরীজীবি হলে :

  • এপয়েন্টমেন্ট কনফার্মেশন +এনওসি+পেস্লিপ-৩ মাস+ভিজিটিং কার্ড
  • পার্সোনাল ও স্যালারি ব্যাঙ্ক সলভেন্সি & সার্টিফিকেট

 

তৃতীয় ধাপ :

ভিসা ফী পরিশোধ করুন। আপনি নিজের পাসপোর্টে এনডোর্সমেন্ট করা ডুয়াল কারেন্সী কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারেন।

  • ভিসা ফী: ১০০ কানাডিয়ান ডলার (প্রতি জন) এবং বায়োমেট্রিক ফী ৯০ কানাডিয়ান ডলার (প্রতি জন) । যে কোনো সময় ভিসা, বায়োমেট্রিক ফী পরিবর্তন হতে পারে। তাই IRCC এর ভিসা ফিস ওয়েবসাইট টি ভ্রমণ করুন।
  • একের অধিক আবেদনকারীর ক্ষেত্রে (পরিবার) ভিসা ও বায়োমেট্রিক ফী ভিন্ন হয়।

 

চতুর্থ ধাপ:

তারপর বাংলাদেশ এ অবস্থিত কানাডিয়ান অথারাইজড ভিএফএস(ঢাকা,চিটাগাং,সিলেট) এর ওয়েবসাইট এ গিয়ে নিজের জিমেইল এবং পাসপোর্ট দিয়ে একটি একাউন্ট বানাবেন এবং বায়োমেট্রিক সাবমিশন এর জন্য পোর্টাল এর এপয়েন্টমেন্ট ডেট নিবেন আর এপয়েন্টমেন্ট যে দিন সে দিনে আপনার নিজের পাসপোর্ট আর এপয়েন্টমেন্ট কনফার্মেশন লেটার নিয়ে ভিএফএস এ হাজির হবেন এবং যথাযথভাবে বায়োমেট্রিক সাবমিশন করবেন।

 

পঞ্চম ধাপ :

এম্বেসী ভিসা সিদ্ধান্ত ইতিবাচক করলে আপনার মেইল এ আপনাকে আপনার পাসপোর্টে জমা দেয়ার নির্দেশনা প্রদান করবে। আপনি আবার বাংলাদেশ এ অবস্থিত কানাডিয়ান অথারাইজড ভিএফএস(ঢাকা,চিটাগাং,সিলেট) এর ওয়েবসাইট এ গিয়ে পাসপোর্টে সাবমিট করার জন্য তারিখ নিবেন এবং নির্দিষ্ট সময়ে পাসপোর্টে জমা দিবেন।

 

ষষ্ঠ ধাপ :

পাসপোর্টে ভিসা সীল হওয়ার পর ভিএফএস এ আসলে ভিএফএস থেকে আপনার মোবাইল এ এসএমএস এবং ইমেইল এ মেইল পাবেন এবং যথাসময়ে গিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করবেন।

 

কানাডার ট্যুরিস্ট ভিসা সম্পর্কিত প্রশ্ন ও তার উত্তর:

১। কানাডাতে ট্যুরিস্ট ভিসা রেশিও কেমন ?

উত্তর: সবসময় এই কথাটি মনে রাখবেন যে যাই বলুক ট্যুরিস্ট অথবা ভিজিট ভিসা পাওয়ার রেশিও আপনার দেওয়া তথ্যের এর উপর নির্ভর করে। ভিসা রেশিও কম বা বেশি হলেই যে আপনার ভিসা হবে অথবা হবে না এমন কোনো গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবেন না। ভিসা সংক্রান্ত যে কোনো সিদ্ধান্ত এম্বেসী নিজে নেয় নিজেদের নিয়ম অনুযায়ী।

 

২। কয়টি দেশ ভিজিট থাকলে কানাডার ভিসা পাওয়া যায় ?

উত্তর : সাধারণত আমাদের বিগতদিনের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বলতে পারি যে, ফ্রিকোয়েন্ট ট্রাভেলার হিসেবে নিজেকে কেউ যদি প্রমান করতে চায় তাহলে নিজের সামর্থ অনুযায়ী ৩ থেকে ৪ টা দেশ ভ্রমণের বিকল্প নেই।

 

৩। কোনো ভিসা লাগানো হয় নি এরকম পাসপোর্ট এ কি কানাডার ভিসা হয়?

উত্তর : যদি ফার্স্ট ব্লাড আত্মীয় কেউ থাকে তাহলে ইনভিটেশন লেটার এর মাধ্যমে কোনো রকম ভিসা ছাড়া কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসা দিয়ে থাকে। তবে সেটা ‘সুপার ভিসা’ নামে পরিচিত। আমাদের বিগতদিনের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বলতে পারি যে, আপনার কানাডা যে ভ্রমণ পরিকল্পনা রয়েছে সেটাকে গুরুত্ব দিয়ে আপনার পরিকল্পনা মাফিক উপস্থাপন এবং কয়েকটি দেশ ভ্রমণ অত্যাবশ্যক।

 

৪। ব্যাংক সলভেন্সি কত টাকা দেখালে ভিসা হয় ? স্টেটমেন্ট কত মাসের বাধ্যতামূলক ?

উত্তর : প্রকৃতপক্ষে কত টাকা ব্যাঙ্ক এ দেখাতে হবে তা কানাডা ইমিগ্রেশন কর্তৃক কোনো রকম দিক নির্দেশনা নাই। তবে আমাদের বিগতদিনের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বলতে পারি যে, কানাডার মতো একটি দেশে ঘুরতে গেলে অন্তত ৭ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আপনার ভ্রমণকালীন ব্যয় দেখানো শ্রেয়। ব্যাংক স্টেটমেন্ট অবশ্যই ৬ মাসের দেখানো বাঞ্চনীয়।

 

৫। নিজে নিজে আবেদন করার বিষয়গুলো সব জানা থাকা সত্ত্বেও কেন অভিজ্ঞ কারোর তত্ত্বাবধানে ভিসা আবেদন করা বাঞ্চনীয় ?

উত্তর : বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া এর পরিবেশনে প্রত্যেকেই ভিসা সংক্রান্ত সকল বিষয় জানতে পারে এবং নিজের আত্মীয়/বন্ধবান্ধব/পারা-প্রতিবেশীরা যেহেতু সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে সেজন্য তথ্য সবাই জানে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে কার্যকরী আবেদন করা আর জানা এক বিষয় নয়। তাই যে যেই কাজে দক্ষ তাকে দিয়ে সেই কাজ করানো বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক।

 

৬। কয়েকটা কন্সালটেন্সি/ট্রাভেল এজেন্সী তুলনামূলক অন্যান্য এজেন্সী থেকে কেন সার্ভিস চার্জ বেশি নির্ধারণ করে ?

উত্তর : যে কেউ যে কোনো কম্পিউটার এর দোকান থেকে অথবা ইউটিউব ভিডিও দেখে নিজে এপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ, ডকুমেন্টস এর পিডিএফ তৈরি করে আবেদন করতে পারে।

সাধারণ মানের চিন্তা ধারার উপর ভিত্তি করে অযোক্তিক ট্রাভেল প্ল্যান এবং অপরিকল্পিতভাবে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস পরিবেশন করলে ভিসা সিদ্ধান্ত নেতিবাচক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই যেসকল কন্সালটেন্সি/এজেন্সী সার্ভিস চার্জ বেশি নির্ধারণ করে তাদের ভিসা রেশিও এবং তাদের ভিসা পরিবেশন সম্পর্কিত তথ্য ভালো করে যাচাই করে তারপর নিজে সিদ্ধান্ত নিবেন।

মনে রাখবেন কম খরচে অদক্ষ কারো মাধ্যমে আবেদন করলে হয়তোবা আপনার খরচ কম হবে কিন্তু একবার ভিসা রিজেকশনের বার্তা সারা জীবন অন্যান্য দেশে ভিসা আবেদনের সময় উল্লেখ করতে হবে যেটার ক্ষতি অপূরণীয়।

 

৭। ভিএফএস এ পাসপোর্ট সাবমিশন এর এপয়েন্টমেন্ট যদি না পাওয়া যায় তাহলে কি করতে হবে ?

উত্তর: এই অংশ তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বাংলাদেশ এ কানাডার বায়োমেট্রিক ও পাসপোর্ট সাবমিশন এর জন্য ৩টা ভিএফএস এর ব্রাঞ্চ থাকা সত্ত্বেও আমরা তারিখ পাই না যেটা খুবই দুঃখজনক।

এক্ষেত্রে আমরা আমাদের ক্লায়েন্ট কে নেপাল এ পাঠাই এবং সেক্ষেত্রে ভিএফএস এর জন্য এক্সট্রা পেমেন্ট করতে হয় আবার নেপাল এর ভিসা এক্সপায়ার্ড হয়ে গেলে সেখানে জরিমানা গুনতে হয়। পাসপোর্ট জমা দেয়ার পর আনুমানিক ১৫-৩০ দিনের মতো নেপাল এ অবস্থান করতে হয়।

 

                                      *দুবাই তে ৫ কার্য দিবসের মধ্যে পাসপোর্টে সীল দিয়ে ফেরত দেয়ার ঘটনা আমাদের শ্রদ্ধেয় ক্লায়েন্টগণ পর্যবেক্ষণ করেছেন।*

 

৮। ভিসা কনফার্মেশন মেইল আসার কত দিনের মধ্যে অবশ্যই পাসপোর্ট সাবমিট করতে হবে ?

উত্তর: মেইল আসার দিন থেকে ৩০ দিন।

 

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ

যে কোনো দেশে মিনিমাম ৩ রাত না থাকলে তা ট্যুরিস্ট হিসেবে গণ্য হয় না। যে যে দেশেই ঘুরবেন ভালো ভালো ছবি আপনার ফেসবুকে প্রোফাইলএ আপলোড দিয়ে রাখবেন লোকেশন সহ অথবা অন্যন্য সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করে রাখবেন।

 

***অধিকন্তু কানাডা ট্রাভেল সম্পর্কিত যেকোনো ধরণের তথ্য জানার জন্য অথবা ফ্রি কন্সালটেশন এর জন্য আমাদের সাথে হোয়াটস্যাপ-০১৯-৬৭-৬৩-৬৭-৬৭ নম্বর এ যোগাযোগ করতে পারেন।***

 

    ঠিকানা: এস -৪৬, ৩য় তলা, মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্স (হাজি ক্যাম্পের বিপরীতে), বিমানবন্দর, ঢাকা। অফিস ভিজিট করার আগে এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে ভিজিট করবেন।